বিভিন্ন তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ কণার ব্যাপন হার পরীক্ষণ।
মূলনীতিঃ কঠিন পদার্থের কণা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট পানিতে ছেড়ে দিলে বড় দানা ধীরে ধীরে ছোট দানায় পরিণত হয় এবং পানি বেগুনি বর্ণ ধারণ করে এই প্রক্রিয়ায় তাপ প্রয়োগ করলে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট কেলাসের অণুসমূহের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় যেহেতু কণাগুলোর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় তাই ব্যাপনের হারও বৃদ্ধি পায়।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ স্ট্যান্ড, থার্মোমিটার, স্টপ ওয়াচ, বিকার, বার্নার ইত্যাদি।
রাসায়নিক দ্রব্যঃ পানি, কঠিন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট।
কাজের ধারাঃ
১) তিনটি
বিকারে পানি নিয়ে এর তাপমাত্রা যথাক্রমে 25°C, 50°C এবং 70°C করি।
২) প্রতিটি বিকারে
পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর দানা যোগ করি এবং স্টপ ওয়াচের সাহায্যে হিসেব করি কোন
বিকারের দানা টি আগে দ্রবীভূত হয়।
৩) দেখা যায় তিন নং
বিকারের পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর দানা প্রথমে অদৃশ্য হয় এবং এক নং বিকারের দানা
সবার পরে অদৃশ্য হয়।
পর্যবেক্ষণকৃত ডাটাঃ
25°C,
50°C এবং 70°C তাপমাত্রায়
পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর কেলাসের দ্রবীভূত হওয়ার প্রয়োজনীয় সময়-
বিকার
নং |
পানির
তাপমাত্রা |
দ্রবীভূত
হওয়ার সময় |
এক
নং |
25°C |
142
সেকেন্ড |
দুই
নং |
50°C |
106
সেকেন্ড |
তিন
নং |
70°C |
81 সেকেন্ড |
পর্যবেক্ষণঃ
পর্যবেক্ষণকৃত ডাটা থেকে দেখা যায় পানিতে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর কেলাসের ব্যাপন
হারের ক্রমধাপ হলঃ তৃতীয় বিকার > দ্বিতীয় বিকার > প্রথম বিকার।
সিদ্ধান্তঃ
তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে তরলে কঠিন বস্তুর ব্যাপন হার বৃদ্ধি পায়।
ফলাফলঃ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ব্যাপন হার বৃদ্ধি পায়।
সতর্কতাঃ
১। বার্ণার ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
২। থার্মোমিটার ও কাচের সরঞ্জাম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
No comments